শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:১৬ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবায়নে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সমর্থন চেয়েছেন ড. ইউনূস ধান ক্ষেত থেকে অটোরিকশা চালকের মরদেহ উদ্ধার জমি নিয়ে বিরোধ; দুই গ্রুপের সংঘর্ষে এক যুবক নিহত দোকান বাকীর টাকা আদায়কে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ : বৃদ্ধ নিহত হবিগঞ্জে হত্যা মামলা, আ.লীগ সভাপতিসহ ২শ জন আসামি গ্র্যান্ড সুলতান রিসোর্টে শামীম ওসমান লুকিয়ে থাকার গুঞ্জন, তাল্লাশি শেষে যা বলছে পুলিশ নগদ দুই লাখ টাকার বেশি তোলা যাবে না এ সপ্তাহে সার্বিক নিরাপত্তার জন্য সারাদেশের সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগের নম্বর গণভবনের মাছ-হাঁসও নিয়ে গেল জনতা, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুর গণআন্দোলনে শেখ হাসিনার পতন, ছাড়লেন দেশ

রাতের আঁধারে অসহায়দের বাড়িতে খাদ্যসামগ্রী নিয়ে চেয়ারম্যান সনজু চৌধুরী

জামাল হোসেন লিটন, চুনারুঘাট (হবিগঞ্জ) : রাতের আঁধারে অভাবীদের ঘরে খাদ্যসামগ্রী নিয়ে প্রতিদিন ছুঠছেন চেয়ারম্যান সনজু চৌধুরী। করোনা ভাইরাস আতংকে সবাই যখন ঘরে বসে সময় কাটাচ্ছেন, ঠিক তখনই মধ্যবৃত্তদের খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। গায়ের পোশাক ভাল হলেও ঘরে খাবার নেই কর্মহীন মধ্যবিত্তের।

মুখ লজ্জ্বায় বলতে না পারা অভাবী লোকদের মনের ভাষা বুঝে প্রতিরাতে-ই খাদ্যসামগ্রী নিয়ে দরজায় হাজির চেয়ারম্যান সনজু চৌধুরী।

আমুরোড বাজারের মুদি ব্যবসায়ি ছাবু মিয়ার দোকান থেকে প্রতিদিন রাতে খাদ্যসামগ্রীর প্যাকেট নিয়ে কোথায় যাচ্ছেন সনজু চৌধুরী। সে অনুসন্ধান করতে, পিছু নিলাম তার। দেখতে পেলাম এক মানবতা ও মানবসেবার দৃশ্য।

নাম প্রকাশ না করে, আহম্মদাবাদ ইউনিয়নের প্রায় গ্রাম থেকেই মধ্যবিত্ত কয়েকজন জানালেন সনজু চৌধুরী রাতে তাদের কে খাদ্যসামগ্রী দিয়ে আসছেন।

দোকানদার ছাবু মিয়া বলেন প্রতিদিন আমার দোকান থেকে চেয়ারম্যান-সাব চাউল, ডাল, তেল, আলু, চিনি, লবণ ও সাবান প্যাকেট করে টমটমে নিয়ে যান। বুঝতে বাকী রইলোনা। তাহলে নিজের অর্থে আর কতদিন চলবে সেই সহযোগীতা। কতদিন-ই বা ঘরে থাকতে হবে এভাবে, সেই প্রশ্ন রয়েই গেল।

সরকারি সকল সহায়তা বা অনুদানের সবটুকু তিনি ১২ জন ইউপি সদস্য ও ওয়ার্ড কমিটি’র মাধ্যমে বিতরণ করে দেন। নিজে একমুষ্ঠি চাউলও বন্টণ করেন না। সেখানে অধিকাংশ অতি দরিদ্রদের অগ্রাধিকার থাকে।

তাহলে মধ্যবৃত্তরা যাবে কোথায়? তাদের বুক ফাটে তবুও মুখ খুলে না! তাই তিনি তার ইউনিয়নের বনগাঁও, গোছাপাড়া, রাজার বাজার, বগাডুবি, কালিশিড়ি, গনশ্যামপুরসহ প্রায় গ্রামে খোঁজ-খবর নিয়ে নিজস্ব অর্থ্যায়নে খাদ্য সামগ্রী নিয় ছুঠে যান।

এক প্রশ্নের জবাবে সনজু চৌধুরী বলেন-সামর্থ্যানুযায়ী মানুষের পার্শে দাড়িয়েছি। লোক দেখানো বা ছবি তোলার কি আছে। দেশের র্দুসময়ে মানুষের পার্শে দাড়ানো-ই তিনি এবাদত মনে করেন।

৯ বছর চেয়ারম্যানের দায়ীত্ব পালনে কোন প্রকার দুর্নাম হয়নি তার। পরপর ২ বার জেলার শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

করোনা ভাইরাস সংক্রমণের শুরুতেই স্থানীয় সংসদ সদস্য বিমান প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলীর নির্দেশে তাঁর নিজ এলাকায় ৪০০ পরিবারে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেন।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

ওয়েবসাইটের কোন কনটেন্ট অনুমতি ব্যতিত কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design & Developed BY ThemesBazar.Com